Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, হাতিয়া, নোয়াখালী সরকার ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (SDGs) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে একাধিক লক্ষ্যভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ কার্যক্রমসমূহের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে—সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার, দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

১. সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা সম্প্রসারণ

  • প্রতিবছর অন্তত ১০% হারে উপকারভোগী সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে অধিক সংখ্যক অসহায়, দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক নাগরিককে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করা।

  • উপকারভোগী বাছাই প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল পদ্ধতি ও স্থানীয়ভাবে যাচাই-বাছাই আরও স্বচ্ছ করা।

  • ভাতাভোগীদের তথ্য হালনাগাদ ও অনলাইন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেবার গুণগত মান নিশ্চিতকরণ।

২. সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বিস্তৃতি

  • উপজেলা পর্যায়ের পাশাপাশি ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়েও ক্ষুদ্রঋণ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম জোরদার করা।

  • টার্গেট পপুলেশনের (দরিদ্র নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, হতদরিদ্র পরিবার) চাহিদা অনুযায়ী কার্যকর প্রশিক্ষণ ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা।

  • ঋণ প্রদানের পাশাপাশি আর্থিক শিক্ষা, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ও সঞ্চয় গঠনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান।

৩. দারিদ্র্য বিমোচন ও আত্মকর্মসংস্থান

  • ক্ষুদ্রঋণভিত্তিক উপকারভোগীদের পর্যায়ক্রমিক ট্র্যাকিং ও সফল উদ্যোক্তা তৈরি।

  • কারিগরি প্রশিক্ষণ ও বাজার সংযোগ স্থাপন করে স্থানীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

  • নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন।

৪. ট্যাগ অফিসার হিসেবে সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ

  • বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে পর্যবেক্ষণ ও প্রতিবেদন প্রদান অব্যাহত রাখা।

  • ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারি সেবায় জবাবদিহিতা ও জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

৫. জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে অবদান

  • সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা।

  • মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে উত্তরণের পথে সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও দারিদ্র্য বিমোচনে দৃশ্যমান অবদান রাখা।

এই কর্মপরিকল্পনাগুলোর সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল প্রশিক্ষণ, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার, অংশীজনের অংশগ্রহণ এবং নিয়মিত মূল্যায়নের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হবে।